এখলাছুর রহমান:: পশু, পাখি, মাছ ও বৃক্ষের প্রতি সীমাহীন প্রেম নিয়ে বেড়ে উঠা জকিগঞ্জের যুবক মনসুর আহমদ শখের বশে গরুর ফার্ম করে এখন বড় ধরণের কর্মস্থান সৃষ্টির স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। গরু পালনের শখ চিরদিনের মতো ধরে রাখতে প্রায় ২ বছর আগে জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের খিলোগ্রামের আব্দুল হক হখই মিয়ার পুত্র মনসুর আহমদ নিজের নানা শাহাব উদ্দিন তেরা মিয়াকে নিয়ে খাড়াভরা এলাকায় প্রায় এক কোটি টাকা ব্যায় করে বিদেশী প্রজাতির ৫০টি গরু কিনে খামার স্থাপন করেন। ক্রমান্বয়ে এখন ছোট বাছুর সহ প্রায় ১শ ৫০ টি গরুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে খামারে। প্রতিদিন প্রায় ১শ লিটার দুধ বিক্রি করা যাচ্ছে। খামারে মনসুর আহমদ ও তার নানা তেরা মিয়া নিয়মিত পরিচর্যা করার পাশাপাশি রয়েছেন ১০ জন নিয়মিত শ্রমিক।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শেওলা-জকিগঞ্জ সড়কের পাশে খাড়াভরা এলাকায় রহমান ডেইরী ফার্ম। এ ফার্মে উন্নত প্রজাতির গরু দেখলে মন জুড়ায়। খামারের গরুর জন্য প্রায় ১২ কেদার জমিতে উন্নত প্রজাতির ঘাস চাষ করা হচ্ছে। মানুষের মায়া মমতা পেয়ে গরুগুলো এখন খামারীদের সাথে মিশে গেছে। খামারীরা যখন খামারে ঢুকেন তখন খামারীকে দেখে গরুগুলো উচ্চ সুরে ডাকাডাকি করে। তাদের ভাবভঙ্গিতে বুঝা যায় তারা যেন নিজের মালিকদেরকে কাছে নিতে ডাকাডাকি করছে। গরুর খামারের পাশাপাশি নানা-নাতি গড়ে তুলেছেন ফিশারী। নানা-নাতির খামার দেখতে প্রতিদিন লোকজনের ভীড় লেগে থাকে ফার্মে। এলাকার অনেকজন তাদের খামার দেখে নিজেরাও খামার স্থাপন করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বেকার যুবকদেরকেও স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়েছেন এ খামারের উদ্যেক্তারা। তবে রহমান ডেইরী ফার্মের উদ্যোক্তারা আক্ষেপ প্রকাশ করে জানান, সরকারীভাবে তারা কোন সহযোগীতা পাচ্ছেন না। সরকারী সহযোগীতা পেলে পর্যায়ক্রমে রহমান ডেইরী ফার্মকে জেলার মধ্যে শ্রেষ্ট খামার করা সম্ভব হবে।
মনসুর আহমদ ও শাহাব উদ্দিন তেরা মিয়া জানান, চাকরি না করে এবং বিদেশে পাড়ি না দিয়ে শখের বসে তিলে তিলে গড়ে তোলেন এ ফার্ম। তাদের মতে, লাখ লাখ টাকা খরচ করে সমাজ-সংসার ফেলে বিদেশে না গিয়ে ওই টাকা বিনিয়োগ করে দেশে বসেই বেকারদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি টাকা উর্পাজনসহ স্বাবলম্বী হওয়া যায়। ফার্মখাতে সরকারি যদি কোন সহযোগিতা পাই তাহলে ব্যবসাটা আরো ভালভাবে করতে পারবো। এক সময় আমাদের ফার্মে বহুলোকজনের কর্মস্থান তৈরী করা সম্ভব হবে।
Leave a Reply